বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম ওরফে নূরে আলমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ ওঠেছে। বিল উত্তোলন করা প্রকল্পটির লোক দেখানো নাম ফলক দিয়েছেন তার মামা লোকমান হোসেনের বাড়ির সামনে।
উপজেলা বিআরডিবি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় পারিল এরশাদ আলী মুনশীর বাড়ি থেকে মেম্বার বাড়ি যাওয়ার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা ইট দ্বারা সলিংকরণ প্রকল্প দেয়া হয়। এ স্কীমে ১ লাখ টাকার মধ্যে বিআরডিবি ৭০ হাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ২০ হাজার ও সুফল ভোগীদের ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, ওই প্রকল্পে করা হয়নি কোনো কাজ, নতুন কাজের নেই কোনো অস্তিত্ব। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এ রাস্তায় কাজ তো দূরের কথা করা নতুন করে মাটিও ফেলা হয়নি। রাস্তাটির কাজ না করেই নাম ফলক দেয়া হয়েছে নূরে আলম মেম্বারের মামা লোকমান হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায়। ওই নাম ফলকে ব্যবহার করা হয়েছে এ প্রকল্পের ঠিকানা। আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রকল্পের সমুদয় অর্থ।
এরশাদ আলীর মুনশীর পুত্র হাজী মোকছেদ আলী বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে এ ধরনের কোনো কাজই আমার চোখে পড়েনি। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোকমান হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা গেছে ওই প্রকল্পের নাম ফলক। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত নূরে আলম মেম্বার বলেন, নির্দিষ্ট স্থানেই আমি প্রকল্পের কাজটি করে দিব। ইতিমধ্যেই ইটবালু আনা হয়েছে।
বিআরডিবি’র ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজিয়া বেগম বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ শুনে আমি সরেজমিন গিয়েছিলাম। ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আমি ওই মেম্বারকে দ্রুত যথাস্থানে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বলেছি।
এ প্রসঙ্গে বলধারা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মাজেদ খান বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। একটি কাজের পরিবর্তে নূরে আলম মেম্বারকে দিয়ে দু’টি কাজ করানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সরেজমিন ভিজিটে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।